সংস্থাটি জানায়, প্রস্তাবটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির হলেও এর মধ্যে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা নেই। হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, প্রস্তাবটি এখন তাদের পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
হামাসের ওই কর্মকর্তা জানান, সব জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে তারা যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তা চাইছেন। তবে ইসরায়েলের ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইতিহাস’ থাকায় তারা আশঙ্কা করছেন, চুক্তির বাস্তবায়নে ইসরায়েল বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, “এটি কেবল বন্দির সংখ্যা নিয়ে নয়, এটি দখলদার ইসরায়েলের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সদিচ্ছার সঙ্গে জড়িত। অতীতে তারা যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এখনো তেমনই আশঙ্কা রয়েছে।”
তার মতে, প্রস্তাবে ৪৫ দিনের জন্য একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির কাঠামো দেওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্থায়ী সমাধানের ভিত্তি হতে পারে। তিনি ইঙ্গিত দেন, হামাস প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে পারে, যদি তা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে।
এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়নেট জানিয়েছে, সোমবার হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার প্রতিশ্রুতি থাকছে। এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে হামাস ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উভয়পক্ষই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কৌশলগত হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত, তবে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসানের দিকে এক ধাপ অগ্রসর হতে পারে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
0 মন্তব্যসমূহ