এই সিদ্ধান্তের ফলে চীনের বাজার থেকে কার্যত ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হতে পারে বোয়িংকে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে লাভবান হবে ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা এয়ারবাস এবং চীনের নিজস্ব কোম্পানি ‘কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট করপোরেশন অব চায়না’ (COMAC)।
তবে বোয়িংয়ের চাহিদা বিবেচনায় রেখে মার্কিন কোম্পানির তৈরি বিমান ভাড়ায় নেওয়ার জন্য চীনা এয়ারলাইনগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনের তিন প্রধান এয়ারলাইন—এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এবং চায়না সাদার্ন ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে মোট ১৭৯টি বোয়িং বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শি জিনপিংয়ের হস্তক্ষেপে সেই পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত।
বাণিজ্য যুদ্ধের এই উত্তেজনা অবশ্য হঠাৎ নয়। চলতি বছরের মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন, যা পরে এপ্রিলের ২ তারিখে বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করা হয়। জবাবে পরদিনই চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর সমান হারে শুল্ক বসায়।
টানাপোড়েন আরও বাড়ে যখন ট্রাম্প ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন, অন্যথায় আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানোর হুমকি দেন। এর জবাবে চীন শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে, আর ট্রাম্প পাল্টা হিসেবে তা বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন। পরে চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি চীনের তরফে যুক্তরাষ্ট্রে চুম্বক ও বিরল খনিজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা আসে। দেশটির বিভিন্ন বন্দর থেকে এসব পণ্যের চালান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর এবং সামরিক সরঞ্জাম খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ