Header Ads Widget

Responsive Advertisement

অলিম্পিকে ফ্রান্সকে হারিয়ে স্পেনের সোনা জয়



স্কাইলার্ক হলিডে বাংলা নিউজ :প্রথমে ম্যাচের ডেডলক ভাঙা হয় ফ্রান্সের মাধ্যমে। কিন্তু প্রথমার্ধেই তিন গোল দিয়ে দাপুটে জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল স্পেন।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। ব্যবধান সমান করে ম্যাচ নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্প্যানিশদের সোনা জয়ের পথ আটকাতে পারেনি।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ৮ গোলের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে আয়োজক ফ্রান্সকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে অলিম্পিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন স্পেন। ফুটবলে এখন বসন্ত কাটছে তাদের। কদিন আগেই ইউরোর শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে দেশটি। এবার অলিম্পিকেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল তারা।
অথচ ম্যাচের ১১ মিনিটে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এনজো মিলোত। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখার জন্য খুব বেশি সময় পায়নি। উল্টো ১০ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে স্পেন। ১৮ মিনিটে গোল শোধ দেওয়ার কাজটা করেন ফেরমিন লোপেস। আলেক্স বায়েনার অ্যাসিস্ট থেকে জাল খুঁজে নেন তিনি। এরপর কাছাকাছি দূরত্ব থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড। ২৮ মিনিটে ফ্রি কিকে দুর্দান্ত এক গোল করেন বায়েনা।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ফ্রান্স জেগে ওঠে শেষ মুহূর্তে। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান কমান মাগনেস আকলিওচে। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্পটকিক থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি জেন ফিলিপি মাতেতা।
ব্যবধান ৩-৩ হওয়ার ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ব্যবধান গড়ে দিয়ে স্পেনের নায়ক বনে যান বদলি হিসেবে নামা সের্হিও কামেয়ো। জোড়া গোল করে দলকে সোনা জয়ের স্বাদ এনে দেন তিনি। ১০০ মিনিটে আদ্রিয়ান বের্নাবের থ্রু বল ধরে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। ১২০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বক্সের বাইরে দারুণ শটে স্কোরশিটে নাম লেখান দ্বিতীয়বারের মতো।
অলিম্পিক ফুটবলে এটি স্পেনের দ্বিতীয় সোনা। ৩২ বছর আগে ১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিকে ঘরের মাঠে পোল্যান্ডকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিল তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ