ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়ার কোম্পানি ও সরকারগুলো এই গ্যাস পরিবহন চুক্তির বিষয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চালিয়ে গেছে, যার লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদে আর্জেন্টিনার গ্যাসকে লাতিন আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস বাজারে প্রবেশ করানো।
সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার বলিভিয়ার পাইপলাইনের মাধ্যমে আনুমানিক ৫ লাখ ঘনমিটার গ্যাস রপ্তানি করা হয়েছে। তবে এই চুক্তিটি "স্পট কন্ট্রাক্ট" হওয়ায় সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নাও থাকতে পারে, বিশেষ করে শীতকালে যখন আর্জেন্টিনার গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
ম্যাট্রিক্স এনার্জিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, "এই অভিনব উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল লজিস্টিক রুটের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিশ্চিত করা, যা সরবরাহ চেইনের বিভিন্ন অংশীদারদের সংযুক্ত করে।"
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, গ্যাস আমদানির এই উদ্যোগটি ম্যাট্রিক্স এনার্জিয়া ও টোটালএনার্জিস আর্জেন্টিনার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, বলিভিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানি YPFB-এর সাথে পরিবহন ও সংযোগ পরিষেবার জন্য একটি চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে, যা ২০২৪ সালের শেষের দিকে ঘোষিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এদিকে, বলিভিয়া প্রথমে তাদের পাইপলাইন ব্যবহারের জন্য একটি শুল্ক আরোপ করতে চেয়েছিল এবং গ্যাস কেনার পর তা ব্রাজিলে পুনরায় বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। তবে সাম্প্রতিক আলোচনায় বেশ কিছু সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বলিভিয়ার গ্যাস উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায়, দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় গ্যাস রপ্তানি করলেও সরবরাহ কমে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে আর্জেন্টিনার ভাকা মুয়ের্তা গ্যাসক্ষেত্র থেকে ব্রাজিলে গ্যাস আসা প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার জন্য একটি বড় সাফল্য, কারণ তিনি দেশের শিল্প খাতের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের গ্যাস নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।
একইসঙ্গে, এটি আর্জেন্টিনার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, কারণ প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইর বাজার-বান্ধব নীতির ফলে দেশটির গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে এবং এটি নতুন রাজস্বের পথ খুলে দিতে পারে।
বলিভিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি YPFB বলিভিয়ার পাইপলাইন দিয়ে নতুন রপ্তানি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি।
0 মন্তব্যসমূহ