শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মাদারবাড়ি এলাকার মালুম মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এমএ লতিফ। কিন্তু নামাজ শেষ করে বের হলে তাকে ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক তিনি মসজিদের গলিতে তার বোনের বাসায় ঢুকে রক্ষা পেলেও বিক্ষুব্ধ জনতা চারদিকে ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে সেনাবাহিনীর টিম এসে তাকে হেফাজতে নিয়ে একটি মাইক্রোবাস করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, সরকার পতনের পর থেকে মাদারবাড়ী বোনের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন এমপি লতিফ। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে। তখন তিনি আবার বাসায় ঢুকে যান। তখন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা চারদিকে ঘিরে ফেলে তাকে বেরিয়ে আসতে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে তাকে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার পরিবারের এক সদস্য বলেন, সকাল বেলা কথা হয়েছিল। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, নিরাপদেই আছেন। কিন্তু এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।
সাবেক সংসদ সদস্য লতিফের বিরুদ্ধে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দমন-পীড়নে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন এমএ লতিফ। এর আগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার জয়ী হয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতিও ছিলেন এমএ লতিফ।
সূত্র - কালবেলা অনলাইন
0 মন্তব্যসমূহ